ঢাকা ১১:৪২ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আওয়ামী লীগ কোমর বেঁধে নেমেছে দুর্গ পুনরুদ্ধারে মরিয়া বিএনপি

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৪:০৯:৩৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ নভেম্বর ২০১৭
  • ২৩৬ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ উত্তর জনপদের শস্যভান্ডার হিসেবে পরিচিত দুপচাঁচিয়া এবং আদমদীঘি উপজেলা নিয়ে বগুড়া-৩ আসন। এবার এ আসনে দুই দলেই নতুন মুখের ছড়াছড়ি। বরাবরই আসনটি ছিল বিএনপির দখলে। সর্বশেষ ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে আসনটি হাতছাড়া হয়। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন জাতীয় পার্টির এমপি অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম তালুকদার। বিএনপির সেই দুর্গে এবার বিজয় পতাকা ওড়াতে চায় আওয়ামী লীগ। কোমর বেঁধে নেমেছেন দলটির নেতারা। অন্যদিকে হারানো আসন পুনরুদ্ধার করতে চাইছে বিএনপি। এ জন্য দুই দলই সঠিক প্রার্থী নির্বাচনে সতর্ক থাকছে। এদিকে প্রধান দুই দলের অপেক্ষাকৃত তরুণ নেতারা মনোনয়নপ্রত্যাশী হয়ে মাঠে নেমেছেন। তবে সাধারণ ভোটাররা বলেছেন, তারা যোগ্য প্রার্থী চান। সেটি যে দলেরই হোক। দল প্রার্থী মনোনয়নে ভুল না করলে তারা প্রতীক বিবেচনা করবে না।

বগুড়ার দুই দলের শীর্ষস্থানীয় রাজনৈতিক নেতারা বলছেন, একাদশ সংসদ নির্বাচনে তারা নতুন মুখ খুঁজছেন। সে ক্ষেত্রে পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তি, জনপ্রিয় ও ত্যাগী নেতাদের প্রাধান্য দেওয়া হবে। দুই দলই বিতর্কিতদের মনোনয়ন না দেওয়ার ব্যাপারে সতর্ক থাকছে। অপেক্ষাকৃত যোগ্য ও তরুণদের প্রার্থী করার ব্যাপারেও চিন্তাভাবনা করছে দুই দলই। জাতীয় সংসদের ৩৮ নম্বর আসন বগুড়া-৩। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে সম্ভাব্য প্রার্থীরা দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার জন্য দৌড়ঝাঁপ শুরু করে দিয়েছেন। চাল উৎপাদনে বিখ্যাত দুপচাঁচিয়া উপজেলা দুই পৌরসভা ও ছয় ইউনিয়ন পরিষদ নিয়ে গঠিত। পাশের আদমদীঘি উপজেলায় রয়েছে ছয় ইউনিয়ন পরিষদ ও একটি পৌরসভা, যার পশ্চিমে আছে সান্তাহার রেলওয়ে জংশন। এখন রীতিমতো নির্বাচনী হাওয়া বইতে শুরু করেছে। সড়কের মোড়ে মোড়ে শোভা পাচ্ছে বিভিন্ন বিলবোর্ড। গ্রামগঞ্জে, হাটবাজারে চলছে প্রচারণা ও গণসংযোগ।

জাপার বর্তমান এমপি দলীয় কর্মকান্ড পরিচালনা করছেন। স্থানীয়ভাবে ক্ষমতায় থাকলেও দলটির অনেক নেতাকর্মী এখনো নিষ্ক্রিয়। তবে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সক্রিয়তা বেড়েছে সব দলের কর্মীদের। সাধারণের মধ্যেও আলোচনা শুরু হয়ে গেছে। বিএনপি, আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির নেতারা মনোনয়নের প্রত্যাশায় কেন্দ্রীয় পর্যায়ে লবিং শুরু করেছেন। অন্যদিকে, তৃণমূল নেতাকর্মীদের ব্যস্ততা বেড়েছে। ব্যানার, ফেস্টুন, বিলবোর্ড, পোস্টার ছাড়াও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও সরব মনোনয়নপ্রত্যাশীরা। মসজিদ, মন্দিরসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অনুদান দেওয়া শুরু করেছেন।

এ এলাকায় ১৯৯৬ সালের ১২ জুন সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আবদুল মজিদ তালুকদার দ্বিতীয়বারের মতো বিএনপির টিকিটে সংসদ সদস্য হন। ২০০১ সালের অষ্টম ও ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট মনোনীত প্রার্থী আবদুল মোমিন তালুকদার খোকা এ এলাকার সংসদ সদস্য হন।

আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশীরা হলেন দলের আদমদীঘি উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম খান রাজু, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপকমিটির সাবেক সহ-সম্পাদক অজয় কুমার সরকার, বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আবদুল মতিন ও দুপচাঁচিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মিজানুর রহমান খান সেলিম। তবে তাদের মধ্যে সিরাজুল ইসলাম খান রাজু প্রচারণায় এগিয়ে আছেন। তিনি বলেন, সাধারণ ভোটাররা যদি বুঝতে পারে কারা দেশের জন্য মঙ্গল বয়ে আনবে, আর কারা ক্ষতি করবে তাহলে নিজেরাই সতর্ক হয়ে ভোট দেবে। আর নৌকা ছাড়া দেশের কিংবা এলাকার উন্নয়ন সম্ভব নয়, তা তৃণমূলের মানুষ ইতোমধ্যে বুঝে গেছে। এ কারণে গণজোয়ার তাদের পক্ষে।

অনেকে মনে করেন, ২০০৮ সালের নির্বাচনে স্থানীয় নেতাকর্মীদের পছন্দ মতো প্রার্থী না দেওয়ায় আওয়ামী লীগের পরাজয় হয়। এবার আওয়ামী লীগ সেই ভুল না করলে আসনটি তাদের দখলে আসবে বলে তৃণমুল নেতাকর্মীরা আশাবাদী। অন্যদিকে, বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য আবদুল মোমিন তালুকদার খোকার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক মানবতাবিরোধী অপরাধ ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক গ্রেফতারে পরোয়ানা জারি থাকায় তিনি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন কিনা-তা নিয়ে রয়েছে সংশয়। তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে না পারলে তার ভাই আদমদীঘি উপজেলা বিএনপির সভাপতি আলহাজ আবদুল মহিত তালুকদার এ আসনে প্রার্থী হতে পারেন।

বগুড়া জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক সাবেক ছাত্রনেতা হামিদুল হক চৌধুরী হিরুরও রয়েছে এলাকায় জনপ্রিয়তা। তিনিও এ আসনে বিএনপির প্রার্থী হতে পারেন বলে জানা গেছে। তিনি ছাত্রজীবন থেকেই বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তরুণ এই নেতা বিভিন্ন সময়ে এলাকার দুস্থদের সাহায্য-সহযোগিতা করছেন। এ ছাড়া জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম বগুড়া ইউনিটের সভাপতি অ্যাডভোকেট শেখ মকলেছুর রহমান দলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশী বলে জানা গেছে। ইতোমধ্যেই তিনি বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ করেছেন। বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট আতাউর রহমান মুক্তা, আলহাজ সুলতান মাহমুদ চৌধুরীও বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী। বর্তমান সংসদ সদস্য জাপার কেন্দ্রীয় নেতা অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম তালুকদার আবার প্রার্থী হবেন বলে নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন। এ ছাড়া জাপা থেকে মনোনয়ন পেতে কাজ করছেন অ্যাডভোকেটড সামছুর রহমান, দুপচাঁচিয়া উপজেলা জাপার সাবেক সভাপতি তৌহিদুর রহমান তৌহিদ।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

আওয়ামী লীগ কোমর বেঁধে নেমেছে দুর্গ পুনরুদ্ধারে মরিয়া বিএনপি

আপডেট টাইম : ০৪:০৯:৩৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ নভেম্বর ২০১৭

হাওর বার্তা ডেস্কঃ উত্তর জনপদের শস্যভান্ডার হিসেবে পরিচিত দুপচাঁচিয়া এবং আদমদীঘি উপজেলা নিয়ে বগুড়া-৩ আসন। এবার এ আসনে দুই দলেই নতুন মুখের ছড়াছড়ি। বরাবরই আসনটি ছিল বিএনপির দখলে। সর্বশেষ ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে আসনটি হাতছাড়া হয়। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন জাতীয় পার্টির এমপি অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম তালুকদার। বিএনপির সেই দুর্গে এবার বিজয় পতাকা ওড়াতে চায় আওয়ামী লীগ। কোমর বেঁধে নেমেছেন দলটির নেতারা। অন্যদিকে হারানো আসন পুনরুদ্ধার করতে চাইছে বিএনপি। এ জন্য দুই দলই সঠিক প্রার্থী নির্বাচনে সতর্ক থাকছে। এদিকে প্রধান দুই দলের অপেক্ষাকৃত তরুণ নেতারা মনোনয়নপ্রত্যাশী হয়ে মাঠে নেমেছেন। তবে সাধারণ ভোটাররা বলেছেন, তারা যোগ্য প্রার্থী চান। সেটি যে দলেরই হোক। দল প্রার্থী মনোনয়নে ভুল না করলে তারা প্রতীক বিবেচনা করবে না।

বগুড়ার দুই দলের শীর্ষস্থানীয় রাজনৈতিক নেতারা বলছেন, একাদশ সংসদ নির্বাচনে তারা নতুন মুখ খুঁজছেন। সে ক্ষেত্রে পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তি, জনপ্রিয় ও ত্যাগী নেতাদের প্রাধান্য দেওয়া হবে। দুই দলই বিতর্কিতদের মনোনয়ন না দেওয়ার ব্যাপারে সতর্ক থাকছে। অপেক্ষাকৃত যোগ্য ও তরুণদের প্রার্থী করার ব্যাপারেও চিন্তাভাবনা করছে দুই দলই। জাতীয় সংসদের ৩৮ নম্বর আসন বগুড়া-৩। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে সম্ভাব্য প্রার্থীরা দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার জন্য দৌড়ঝাঁপ শুরু করে দিয়েছেন। চাল উৎপাদনে বিখ্যাত দুপচাঁচিয়া উপজেলা দুই পৌরসভা ও ছয় ইউনিয়ন পরিষদ নিয়ে গঠিত। পাশের আদমদীঘি উপজেলায় রয়েছে ছয় ইউনিয়ন পরিষদ ও একটি পৌরসভা, যার পশ্চিমে আছে সান্তাহার রেলওয়ে জংশন। এখন রীতিমতো নির্বাচনী হাওয়া বইতে শুরু করেছে। সড়কের মোড়ে মোড়ে শোভা পাচ্ছে বিভিন্ন বিলবোর্ড। গ্রামগঞ্জে, হাটবাজারে চলছে প্রচারণা ও গণসংযোগ।

জাপার বর্তমান এমপি দলীয় কর্মকান্ড পরিচালনা করছেন। স্থানীয়ভাবে ক্ষমতায় থাকলেও দলটির অনেক নেতাকর্মী এখনো নিষ্ক্রিয়। তবে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সক্রিয়তা বেড়েছে সব দলের কর্মীদের। সাধারণের মধ্যেও আলোচনা শুরু হয়ে গেছে। বিএনপি, আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির নেতারা মনোনয়নের প্রত্যাশায় কেন্দ্রীয় পর্যায়ে লবিং শুরু করেছেন। অন্যদিকে, তৃণমূল নেতাকর্মীদের ব্যস্ততা বেড়েছে। ব্যানার, ফেস্টুন, বিলবোর্ড, পোস্টার ছাড়াও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও সরব মনোনয়নপ্রত্যাশীরা। মসজিদ, মন্দিরসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অনুদান দেওয়া শুরু করেছেন।

এ এলাকায় ১৯৯৬ সালের ১২ জুন সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আবদুল মজিদ তালুকদার দ্বিতীয়বারের মতো বিএনপির টিকিটে সংসদ সদস্য হন। ২০০১ সালের অষ্টম ও ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট মনোনীত প্রার্থী আবদুল মোমিন তালুকদার খোকা এ এলাকার সংসদ সদস্য হন।

আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশীরা হলেন দলের আদমদীঘি উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম খান রাজু, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপকমিটির সাবেক সহ-সম্পাদক অজয় কুমার সরকার, বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আবদুল মতিন ও দুপচাঁচিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মিজানুর রহমান খান সেলিম। তবে তাদের মধ্যে সিরাজুল ইসলাম খান রাজু প্রচারণায় এগিয়ে আছেন। তিনি বলেন, সাধারণ ভোটাররা যদি বুঝতে পারে কারা দেশের জন্য মঙ্গল বয়ে আনবে, আর কারা ক্ষতি করবে তাহলে নিজেরাই সতর্ক হয়ে ভোট দেবে। আর নৌকা ছাড়া দেশের কিংবা এলাকার উন্নয়ন সম্ভব নয়, তা তৃণমূলের মানুষ ইতোমধ্যে বুঝে গেছে। এ কারণে গণজোয়ার তাদের পক্ষে।

অনেকে মনে করেন, ২০০৮ সালের নির্বাচনে স্থানীয় নেতাকর্মীদের পছন্দ মতো প্রার্থী না দেওয়ায় আওয়ামী লীগের পরাজয় হয়। এবার আওয়ামী লীগ সেই ভুল না করলে আসনটি তাদের দখলে আসবে বলে তৃণমুল নেতাকর্মীরা আশাবাদী। অন্যদিকে, বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য আবদুল মোমিন তালুকদার খোকার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক মানবতাবিরোধী অপরাধ ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক গ্রেফতারে পরোয়ানা জারি থাকায় তিনি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন কিনা-তা নিয়ে রয়েছে সংশয়। তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে না পারলে তার ভাই আদমদীঘি উপজেলা বিএনপির সভাপতি আলহাজ আবদুল মহিত তালুকদার এ আসনে প্রার্থী হতে পারেন।

বগুড়া জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক সাবেক ছাত্রনেতা হামিদুল হক চৌধুরী হিরুরও রয়েছে এলাকায় জনপ্রিয়তা। তিনিও এ আসনে বিএনপির প্রার্থী হতে পারেন বলে জানা গেছে। তিনি ছাত্রজীবন থেকেই বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তরুণ এই নেতা বিভিন্ন সময়ে এলাকার দুস্থদের সাহায্য-সহযোগিতা করছেন। এ ছাড়া জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম বগুড়া ইউনিটের সভাপতি অ্যাডভোকেট শেখ মকলেছুর রহমান দলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশী বলে জানা গেছে। ইতোমধ্যেই তিনি বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ করেছেন। বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট আতাউর রহমান মুক্তা, আলহাজ সুলতান মাহমুদ চৌধুরীও বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী। বর্তমান সংসদ সদস্য জাপার কেন্দ্রীয় নেতা অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম তালুকদার আবার প্রার্থী হবেন বলে নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন। এ ছাড়া জাপা থেকে মনোনয়ন পেতে কাজ করছেন অ্যাডভোকেটড সামছুর রহমান, দুপচাঁচিয়া উপজেলা জাপার সাবেক সভাপতি তৌহিদুর রহমান তৌহিদ।